কানাডায় চলতি বছরে ৫ লাখ ৫ হাজার ১৬২ জন স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদন কানাডার স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে।
ইকোনমিকস টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা সীমিত করতে কানাডা ২০২৫ সালে স্টাডি পারমিটের আবেদনকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট (পড়াশোনার অনুমতি) এবং বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের (কাজের অনুমতি) যোগ্যতা কড়াকড়ি করার কথা দেশটি আগেই জানিয়েছিল।
কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ববিষয়ক সংস্থা (আইআরসিসি) আবেদনকারীর কার্যক্রমগুলো তদারকি করবে। আবেদনকারীর সংখ্যা পূরণ হয়ে গেলে ফি ফেরত দেওয়া হবে। এ সংখ্যা আবেদনের জন্য নির্ধারিত। এটি স্টাডি পারমিটের জন্য নয়। আবেদনকারীর এ সংখ্যা অনুসারে কানাডা প্রাদেশিক এবং আঞ্চলিক সরকারগুলোকে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি ছিল। ২০২২ সালে দেশভিত্তিক তথ্য অনুসারে, কানাডা ১৮৪টি দেশ থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছিল। সে সময় শিক্ষার্থী সংখ্যায় ভারত ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। দেশটির ২ লাখ ২ হাজার নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর পরেই থাকা চীনের শিক্ষার্থী ছিল ৫২ হাজার।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, বাস্তবতা হলো কানাডায় যারা আসতে চান, সবাই পারবেন না। কানাডায় আসতে পারা একটা সুযোগের ব্যাপার। এটি কোনো অধিকার নয়।
উল্লেখ্য, বিগত দিনগুলোতে কানাডা সরকারের পদক্ষেপে একের পর এক ক্রমাগত নতুন অভিবাসীর আগমনের ফলে কানাডার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়াসহ জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমবর্ধমান অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গত বছরের জানুয়ারিতে। ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার বেঁধে দেয় যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম।