আবহমান গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপকে যেন তুলে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বহুসংস্কৃতির দেশ কানাডার একটি মিলনায়তনে। ‘চলো ফিরে যাই মাটির টানে’-আহ্বান সংবলিত এ আয়োজনে গান, কবিতা আর নাচের সমাহারে লাল সবুজের বাংলাদেশকেই যেন তুলে ধরার আকাঙ্ক্ষা ছিল সবার মন এবং মননে।
এমনই এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টরন্টোর গ্র্যান্ড সিনেমন ব্যাংকুয়েট হলে। কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের ঘিরে অভূতপূর্ব এ আবহ তৈরি হয়। ইউনাইটেড বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি (বাউ) অ্যালামনাই কানাডা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এরপর অনুষ্ঠানে স্পন্সরদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন টরন্টোর সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ এবং এমপি ডলি বেগম। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কৃষিবিদ পরিবারের সদস্য, কমিউনিটির শিল্পীরা এতে গান ও নাচ পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশের লোক সংগীতের কিংবদন্তি একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। তিনি ভাওয়াইয়াসহ ১২টি গান পরিবেশন করেন।
সংগীতানুষ্ঠানে কোরাস ও একক সংগীতে অংশ নেন সুমন সাইয়েদ, হাশমত আরা চৌধুরী (জুঁই), প্রশান্ত সরদার, সুনীতি সরদার, নাসিরুল ইসলাম (মিঠু), সোমা চৌধুরী, রওশন আরা পারভীন লাভলী, ফরিদ আহমেদ, জিয়া চৌধুরী, ইন্দিরা রায়, নুরুন নাহার খানম শিরিন, মুনিরা সারুয়াত, সীমা হক, জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন, মোস্তারী লাইজু, শুভাশীষ রায়। দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন-নিঝুম রুপা পাল, নন্দিনী রুপা। স্বরচিত আবৃত্তি করেন-তারানা নাজনীন। শিল্পীদের যন্ত্রাংশে সঙ্গ দেন জাহিদ হোসেন, রাজিব, অপূর্ব, দেবাশীষ সাহা ও অখিল রায়। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন-জিয়াউল ভুঁইয়া, ভিডিওগ্রাফিতে তাহসান রাশেদ শাওন।
বাউ ফ্যামিলি নাইটে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ফায়েজুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় অ্যালামনাই সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য, স্পন্সর, অতিথি, মিডিয়া, মিউজিশিয়ানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।