কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের ইফতার আয়োজন

0

মাল্টিকালচারালিজমের দেশ কানাডা। বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে প্রায় এক লক্ষের ও অধিক প্রবাসী বাঙালিরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। পবিত্র রমজান মাস এলেই চোখে পড়ে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সাথে বাঙালিদের এক অভূতপূর্ব ধর্মীয় রীতিনীতির ও সহমর্মিতার মিল। যার প্রতিফলন ঘটে ইফতারির বিশেষ আয়োজনে।

প্রবাসী মুসলিম বাঙালিরা কানাডায় থাকলেও ভুলে যায়নি তাদের ধর্মীয় রীতিনীতির কথা। দেশের স্বজনদের অভাব থাকলেও প্রবাসের স্বজনদের সাথে মিলিত হয় ইফতার আয়োজনে। ছুটির দিনগুলোতে ইফতারের পর চলে মধ্যরাত অবধি বাঙালিয়ানা খাবার আর আডডা।

রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতার আইটেমের সব ধরনের খাবার রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের স্টাইলে শাহী হালিম, শাহী জিলাপি, বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ছোলা এবং অন্যান্য আইটেমসহ বাহারি রকমের ফল ও শরবতের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রবাস জীবনের যান্ত্রিকতাময় দিনগুলোতে ইফতার আর তারাবি নামাজ শেষে প্রবাসী বাঙালিরা যখন মিলিত হয় একে অপরের সাথে, পুরো পরিবেশ পরিণত হয় এক ভিন্ন আমেজের। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসীরা সবাই যখন মসজিদে মিলিত হয়, তখন মনে হয় যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।

ক্যালগেরি আকরাম জুম্মা মসজিদের সিনিয়র ইমাম শেখ জামাল হামমৌদ গণমাধ্যম কে বলেন, ক্যালগেরির বিভিন্ন কমিউনিটির প্রায় এক হাজারেরও বেশি মুসলিম উম্মাহ একত্রিত হয়ে এখানে ইফতারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ কমিউনিটির উপস্থিতি এবং সহযোগিতা লক্ষণীয়। এভাবে আমরা সবাই মিলে আগামী বছর ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান দিপু গণমাধ্যমকে বলেন, ইফতারের সময়টাতে বাংলাদেশকে খুব মিস্ করি। ফিরে যাই শৈশবের দিনগুলোতে। বাবা মা ভাই বোন পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের সাথে সেই সময়ে কতই না ভালো লাগতো। আজ দূর পরবাসে এগুলো সবই স্মৃতি। 

কানাডার ক্যালগেরির কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জুবায়ের সিদ্দিকী গণমাধ্যম কে বলেন, খুবই ভালো লাগছে যে আমরা বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশের কমিউনিটির সাথে একাত্ম হয়ে ইফতার করছি। কমিউনিটির উন্নয়নে এভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।।

রমজান মাস এলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে প্রবাসী বাঙালিরা। বিশেষ করে ইফতারের সময় ফিরে যায় অতীতে, খুঁজে ফিরে বাংলাদেশের সোনালী দিনগুলোকে। স্মৃতিচারিত হয় আত্মীয়-স্বজন। মা-মাটি আর দেশ ভালো থাকুক, পবিত্র রমজানে এটাই তাদের প্রত্যাশা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here