বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে কাতারে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সম্মানে বুধবার কাতারের রাজধানী দোহার অভিজাত শেরাটন হোটেলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী গানেম বিন শাহীন বিন গানিম আল গানিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর অব প্রটোকল রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু, কূটনৈতিক কোরের ডিন ও ইরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত আলী ইব্রাহিম আহমেদ এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও কাতারের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেই সব দেশ ও জনগণের প্রতি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
কাতারের উন্নয়ন, ক্রীড়া, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক শান্তিতে অবদানের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতার আজ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যার বড় উদাহরণ ২০২২ সালের সফল ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন।
তিনি কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সহায়তা করার জন্য কাতারের আমির এবং সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দীর্ঘ ১৭ বছর পর কাতারে বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু এই আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই অনুষ্ঠানটি কাতার-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।