১০ চীনা নাগরিককে মাদক ও অর্থ পাচারের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কম্বোডিয়ার একটি আদালত । ১৪ টন রাসায়নিক পদার্থ এবং মাদক আটকের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সিহানুকভিল প্রদেশের একটি আদালত। খবর রেডিও ফ্রি এশিয়ার।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত প্রত্যেক অভিযুক্তকে ১০০ মিলিয়ন রিয়েল যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।
এর আগে ২০২২ এর জুলাইতে এক মাদক বিরোধী অভিযানে চীনা এই ১০ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মেথামফেটামিনসহ বিভিন্ন মাদক উৎপাদন ও চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়।
দেশটিতে এরই মাঝে মেথামফেটামিন ব্যবহার এবং উৎপাদন বন্ধে চীনা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন এনজিও।
পিপল সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড পিসের সভাপতি ইয়ং কিম এং ২০২২ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, “চীনারা অবৈধ মাদক উৎপাদন ও চোরাচালানের জন্য কম্বোডিয়াকে ব্যবহার করছে।”
তবে কম্বোডিয়ায় মাদক দমনের প্রচেষ্টাকে এখনো অপ্রতুল বলে মনে করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক সেং ভ্যানলি। তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবারের রায়ে শুধুমাত্র ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের শাস্তি দেয়া হলেও কর্তৃপক্ষ প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আটক করা কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত পর্যন্ত করার সাহস করে না।
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির কারণে সরকার মাদক বিরোধী আইনটি কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি, অবৈধ মাদক পাচারের সাথে সরকারের ক্ষমতাশালী লোকজনও জড়িত বলে মনে করেন তিনি।
সোর্স: রেডিও ফ্রি এশিয়া