পদ্মা সেতুর উপর তৈরি রেলপথ গত ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হলেও ১৪ দিন পর আজ থেকে চলবে ট্রেন। এছাড়া এ রেলপথে যে উচ্চ ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল, জনসাধারণের কথা ভেবে সেটি কমিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫) ট্রেনটি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা করবে। খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে এসে ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টায়। এছাড়া দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেন হিসেবে ২ নভেম্বর যাত্রা করবে বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫)। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে।
পরে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী তুমুল সমালোচনা করলে ভাড়া প্রস্তাব কমিটি গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের পন্টেজ চার্জ সাময়িকভাবে বাদ দেয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে পন্টেজ চার্জ ১০ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পয়েন্ট চার্জের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। ফলে ভাড়া কমে যায়।
নতুন ভাড়া অনুযায়ী খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৫৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া এক হাজার ১৪৫ টাকা এবং এসি বার্থে ভাড়া এক হাজার ৭২০ টাকা। প্রথম প্রস্তাবে এই পথে ভাড়া ধরা হয়েছিল মেইল ট্রেনের জন্য ২০৫ টাকা, কমিউটার ট্রেনের জন্য ২৫৫ টাকা, আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের জন্য ৬১৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ১ হাজার ১৭৩ টাকা, এসি সিটের জন্য ১ হাজার ৪০৯ টাকা এবং এসি বার্থের জন্য ২ হাজার ১১১ টাকা।
অন্যদিকে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৮০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৯২০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া এক হাজার ১০৪ টাকা এবং এসি বার্থে ভাড়া এক হাজার ৬৫৬ টাকা।
বাংলাদেশে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই ভাড়া কমানো হয়েছে।