কক্সবাজার সৈকতে ২১ জাতিগোষ্ঠীর বহুভাষিক উৎসব

0

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয়েছে ২১টি জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের নিয়ে দুই দিনের উৎসব। ‘বহুভাষিক উৎসব-২০২৫’ শীর্ষক এই উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল। 

উৎসবে অংশ নিয়েছে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বম, খেয়াং, চাক, পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, মণিপুরি, সাঁওতাল, মাহালী, গারো, হাজং, কোচ, রাখাইনসহ ২১টি সম্প্রদায়ের শিল্পীরা। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।

 
এ সময় তিনি বলেন, আমরা এমন এক জাতি যারা শুধু বাংলা ভাষাকে নয়, সব ভাষাকেই সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে পারি। এই জাতি মুক্তির জন্য বার বার লড়ে গেছে। একাত্তরে যেমন যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে, তেমনি ২৪ এ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্যে যাচ্ছে, চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।

এসব মোকাবেলার জন্য দেশের যে জাতি গোষ্ঠীগুলো রয়েছে, তাদের যে সংস্কৃতি তা তুলে ধরতেই এই আয়োজন। এতে প্রমাণিত হবে এ জাতি বহু জাতিগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ একটি জাতি। 

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালা্হউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন ধারার যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র এই উৎসবের মাধ্যমেই তা বঙ্গোপসাগরের তীরে মিলিত হয়েছে। 

এর আগে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা তদের মাতৃভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

১২টি ভিন্ন ভাষায় গাওয়া হয় একুশের কাল জয়ী গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। 

বাংলা ভাষার মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলা ভাষাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকেও শ্রদ্ধা জানাতে কক্সবাজার সৈকতে প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমী কতৃক এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ভাষাভাষীর ২১টি জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পরিবেশিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে। স্থানীয় ব্যক্তিদের পাশাপাশি সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকরা উৎসব উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here