কক্সবাজারের উপকূলবর্তী সোনাদিয়া দ্বীপ সংলগ্ন সাগরে অভিযান চালিয়ে লুট করা মাছসহ ১৮ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার সকালে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট করা মাছসহ ‘এফবি মায়ের দোয়া-১৭৯ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়।
কোস্টগার্ড ও পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের অদূরে সাগরে মাছ ধরার সময় জলদস্যুর কবলে পড়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ৯৯৯ এ কল দিলে মহেশখালী থেকে অন্য ট্রলার গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই দস্যুদলকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গেল ৩ মাসে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৫০ টির বেশি মাছ ধরার ট্রলার দস্যুতার কবলে পড়েছে। এ সময় দস্যুবাহিনীর গুলিতে এক জেলে নিহত হন এবং আহত হন আরো অন্তত ৫০ জেলে। মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপকে জলদস্যুরা প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। আটক ১৮ জলদস্যুকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা মাছগুলো পরে কক্সবাজার সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সুজয় পালের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত নিলাম করা হয়। যা দুই লক্ষ আশি হাজার টাকায় কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন।