জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে জেলায় ৩৫ হাজার কুকুরকে টিকা দেওয়া হবে। ৫ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর। এ কর্মসূচিকে সফল করতে টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষিত টিম নিয়ে আসা হয়। এ অভিযানের আওতায় জেলার কুকুরগুলোকে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কুকুরকে টিকা দেয়ার পর ‘নিরাপদ’ চিহ্নিত করতে ওই কুকুরের শরীরে লাল রঙ দিয়ে রঙিন করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম আকতার বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পর একটি টিম আসে। গত রবিবার থেকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। টার্গেট অনুযায়ী পৌরসভায় ৩ হাজার কুকুরকে এই টিকা দেওয়া হবে’।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালে পৌরসভা এলাকার ১২ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬০০ কুকুরকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছিল। পরে পৌরসভা এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বাড়তে থাকে। বর্তমানে পৌরসভায় ৫ কুকুরের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে পৌরসভা। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি দেওয়ার পর প্রশিক্ষিত টিম পৌরসভায় আসে। ৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে ৩ হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সকাল ৭ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলা এই কার্যক্রমে ১২ টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ৪ জন করে ৪৮ জন ভলেন্টিয়ার কাজ করছেন।
সিভিল সার্জন ডা: মোহামুদুল হক বলেন, প্রথমধাপে চারটি উপজেলায় এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। সদর, রামু, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জেলার ৩৫ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হবে। আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, ঈদগাঁ ও টেকনাফ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

