কক্সবাজারে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক

0

সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন কক্সবাজারে।

কক্সবাজারের একটি হোটেলে মঙ্গলবার পুষ্টি বিষয়ক একটি প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস। এতে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাবউদ্দিন, কক্সবাজার সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির (বিএইচপি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও আমান প্রকল্পের লিড ড. মিথুন গুপ্তা প্রমুখ।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুব্রত বিশ্বাস বলেন, পুষ্টির ঘাটতি পূরণে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। এর পাশাপাশি উপকারভোগী ও মাঠ পর্যায়ে যে সকল কর্মকর্তা এই বিষয়ে কাজ করেন তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। 

আমান প্রকল্পের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরে মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পটি পুষ্টি উন্নয়নে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মাঝে কাজ করছে। এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে কমিউনিটিকে আরও বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ত করতে হবে। 

ডা. মিথুন গুপ্তা বলেন, আমান প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু অপুষ্টির জটিলতাগুলোর সমাধানই করা হচ্ছে না, বরং এর মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে টেকসই পরিবর্তনে একটি পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এতে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও অদম্য ভবিষ্যৎ নির্মিত হবে। 

নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল-এর সহায়তায় ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির অধীনে আমান প্রকল্পটি কক্সবাজারের ৮টি উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে কাজ করছে। এ প্রকল্পের আওতায় যা রয়েছে, তা হলো- সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুষ্টির জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ ও কক্সবাজারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের পুষ্টি উন্নয়ন। বিশেষত অতিদরিদ্র নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে।

আমান প্রকল্পের লক্ষ্য হলো মাঠ পর্যায়ের কর্মী সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো এবং ইতিবাচক সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে নানামুখী গণযোগাযোগ (Multisectoral Social and Behaviour Change Communication-MSBCC) তৈরি করা। এর পাশাপাশি ‘মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজ’ (Multi Sectoral Minimum Nutrition Package) বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here