শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্য করলেও জালের দেখা পেতে ভুগছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামার পরপরই দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিলেন ভিতর খক। তরুণ এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ব্যবধান। ওসাসুনাকে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরল শাভি এর্নান্দেসের দল।
ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই হারের পর জয়ের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। লিগে গত রাউন্ডে ভিয়ারেয়ালের বিপক্ষে ৫-৩ গোলে হারের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে শাভি জানান, মৌসুম শেষে দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। তারপর প্রথমবার মাঠে নামল কাতালান দলটি।
প্রথমার্ধে খুব বেশি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বার্সেলোনা। অল্প যে কয়েকটি সুযোগ তারা পায়, সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেনি। জুল কুন্দের হেড ও লোপেসের হাফ-ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
লোপেসকে তুলে ৬২তম মিনিটে নামানো হয় খককে। পরের মিনিটে ম্যাচে নিজের প্রথম স্পর্শেই দলকে এগিয়ে নেন ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার। কানসেলোর ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন তিনি। বার্সেলোনার জার্সিতে ৬ ম্যাচে তার প্রথম গোল এটি।
গোল হজমের চার মিনিট পর আরেকটি ধাক্কা খায় ওসাসুনা। খককে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার উনাই গার্সিয়া। ৭২তম মিনিটে সফরকারীদের বক্সে খক পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।
৭৬তম মিনিটে সমতা টানার সুবর্ণ সুযোগ হারায় ওসাসুনা। রুবেন গার্সিয়ার পাস বক্সে পাওয়া রাউল গার্সিয়ার সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
তিন মিনিট পর লেভানদোভস্কি বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। শেষ দিকে কানসেলোর শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেওয়ায় ব্যবধান বাড়েনি।
২২ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ২২ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মৌসুমের চমক জিরোনা। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে ওসাসুনা।