ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ন্যায়ের পক্ষে ও কল্যাণের পক্ষে কথা বলা ওসমান হাদির মতো একজন মেধাবী যুবককে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর রয়েছে এ কথা বলা যায় না। এ ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছে, আমরা সেই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন— এটি যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কোনটি? ওসমান হাদি হত্যার পর থেকে সারা দেশে সম্ভাব্য প্রার্থীরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।
শুক্রবার রংপুর টাউন হলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ওসমান হাদীকে হত্যার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। দেশের ভেতরে যেন সুন্দর পরিবেশ না থাকে, সেই নীলনকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক, বৈষম্যবিরোধী শক্তি, ইমানদার মুসলমানসহ সবাই দেশরক্ষা ও মানবতার কল্যাণে সজাগ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারবে না।
তিনি বলেন, বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো— খুনি খুন করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছে। এই পরিকল্পনা কারা করল, কেন ভারত খুনিদের আশ্রয় দিচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। একটি সভ্য দেশের আচরণ এমন হওয়া উচিত নয়। আমরা ভারতকে বলবো, দেশের ভেতরে অরাজকতা সৃষ্টিকারী, খুন ও গুমকারীদের আশ্রয় দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সঙ্গে জড়িত যারা দেশকে অস্থিতিশীল করেছে, যারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, তাদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে।
রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের সভাপতি আবু রায়হান আল বিরুনীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সুলতান মাহমুদ। আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন রংপুর জেলা সভাপতি এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, মহানগর সভাপতি আব্দুর রহমান কাসেমী, সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পিয়ালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় নবগঠিত জেলা কমিটিতে শেখ মো. আব্দুল্লাহকে সভাপতি, রোকনুজ্জামানকে সেক্রেটারি এবং মহানগর কমিটিতে আবু বক্কর সিদ্দিককে সভাপতি ও রহমতুল্লাহকে সেক্রেটারি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। পরে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের শপথ পাঠ করান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

