এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভালো শুরু পেয়ে বারবার ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। খুনে ব্যাটিংয়ে অবশেষে লম্বা ইনিংস খেলতে পারলেন তিনি। আরেকটি দারুণ ইনিংস উপহার দিলেন তিলাক ভার্মা। এতে করে স্বাগতিকদের অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে টিকে রইল ভারত।
গায়ানায় মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের জয় ৭ উইকেটে। ১৬০ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ১৩ বল হাতে রেখে। মাত্র ৪৪ বলে ৪ ছক্কা ও ১০ চারে ৮৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা সুরিয়াকুমার। তিলাক ফিফটি পাননি ১ রানের জন্য। ৩৭ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। প্রথম ওভারে তারা হারায় যাশাসবি জয়সওয়ালকে। অভিষেকে ২ বলেই শেষ হয় এই তরুণের ইনিংস। আরেক ওপেনার শুবমান গিলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে সুরিয়াকুমার ও তিলাক উপহার দেন ৫১ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী জুটি। তাতে ম্যাচও চলে যায় ভারতের মুঠোয়।
ক্রিকেটীয় সব শটের পাশাপাশি উদ্ভাবনী নানা শটে এগিয়ে যান সুরিয়াকুমার। ২৩ বলে ফিফটি করে শতকের পথে ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু আলজারি জোসেফের নিচু ফুল টস বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৩২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে বাকিটা সারেন তিলাক। ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে ১৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৩৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মেয়ার্সকে (২০ বলে ২৫) ফিরিয়ে ৫৫ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন আকসার প্যাটেল। একটি করে ছক্কা ও চার মেরে বিদায় নেন জনসন চার্লস। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা নিকোলাস পুরান এবারও তেমন কিছুর ইঙ্গিত দেন, তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। ১২ বলে তিনি করেন ২০ রান।
একই ওভারে পুরান ও ব্র্যান্ডন কিংকে (৪২ বলে ৪২) ফিরিয়ে দেন কুলদিপ। এতে রানের গতিও কমে যায় ক্যারিবিয়ানদের। পরে পাওয়েলের ঝড়ে দেড়শ ছাড়াতে পারলেও, তা যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখনও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী শনিবার ফ্লোরিডায় হবে চতুর্থ ম্যাচ।