আগামী ১ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য আম্পায়ারদের তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত ম্যাচ পরিচালনা করবেন।
শুক্রবার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের জন্য আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করে আইসিসি। ২৬ জনের তালিকায় ম্যাচ রেফারি আছেন ৬ জন, আর আম্পায়ার আছেন ২০ জন।
গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারের স্বীকৃতি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার আগে মেয়েদের বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত।
এলিট প্যানেল থেকে গত বছর আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতি ডেভিড শেফার্ড ট্রফি জেতা রিচার্ড এলিংওর্থের সঙ্গে কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, পল রাইফেলরাও থাকছেন আসন্ন টুর্নামেন্টে। এর আগে জেফানি ও রাইফেল ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন।
আম্পায়ার : ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, মাইকেল গগ, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড এলিংওর্থ, আল্লাহুদিন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবোরো, জয়ারামান মাদানাগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, এহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব।
ম্যাচ রেফারি : ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো ২০ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৮ দিন ব্যাপী এই আসরে ৯টি ভেন্যুতে মোট ৫৫টি ম্যাচ হবে। যাকে বলা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আসর।