ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বের সাথে তার কয়েক মাস ধরে চলা বাকযুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মস্কোপন্থি বাহিনী তার যোদ্ধাদের ক্ষতি করার জন্য বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছে।
প্রিগোজিন তার সর্বশেষ টেলিগ্রাম পোস্টে এই দাবি করেছেন। ওয়াগনার ভাড়াটে যোদ্ধারা কয়েক মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর বাখমুত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে। প্রিগোজিন জানিয়েছেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাখমুত শহর রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রিগোজিন বলেন, শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য এটা করার প্রয়োজন ছিল না। সুতরাং, আমরা অনুমান করতে পারি, এটা অগ্রসরমান ওয়াগনার ইউনিটের জন্য করা হয়েছে।
তবে এসব মাইনে ওয়াগনার যোাদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন। রুশ সেনাবাহিনী বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পক্ষে লড়াই করছে ওয়াগনার গ্রুপ। এর পাশাপাশি সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ অন্যান্য জায়গায়ও তাদের তৎপরতা রয়েছে।
ওয়াগনার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণকারী প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর চাপে পড়ার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রুশ জেনারেলদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে দেখা গেছে প্রিগোজিনকে। প্রকাশ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনিই ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা। ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের বেশির ভাগ সাবেক রুশ সেনা।
গত বছরের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। ইইউর অভিযোগ, মস্কোর হয়ে এই গোষ্ঠী চোরাগোপ্তা অভিযান চালাচ্ছে। ওয়াগনার নিয়ন্ত্রণের কারণে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।সূত্র: আল জাজিরা