রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের আইনগত কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের আবাসিক প্রাসাদ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে সহায়তা দিয়েছিলেন ওয়াগনার যোদ্ধারা।
তবে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর ওয়াগনার প্রধান পুতিনের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউরোপ ছেড়ে আফ্রিকায় পাড়ি জমান। গত আগস্টের শেষের দিকে রাশিয়ায় এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রিগোঝিন।
মঙ্গলবার ওয়াগনারের বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছিলেন, এই গ্রুপের সদস্যরা সিরিয়া ও লিবিয়াসহ আফ্রিকার বিশাল এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছে। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়ার কারাগার থেকে হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়ে ওয়াগনারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী দাবি করেন, ওয়াগনার হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কাজে যুক্ত। এই গোষ্ঠী বিদেশে ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই। কারণ, বর্তমানে আইনগতভাবে রাশিয়ায় ওয়াগনার বলে কোনো গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই।
সূত্র : রয়টার্স।