বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগে ওয়াগনার বস মালিতে একদিনের ভ্রমণ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে তার ব্যক্তিগত সামরিক কোম্পানি ওয়াগনার ইসলামি জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনীর সমর্থনে কাজ করে।
প্রিগোজিনের একদিনের সফরটি আরও একটি ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেন থেকে সরে আফ্রিকায় কার্যক্রম পরিচালনায় মনোযোগ দেওয়ার তীক্ষ্ণ প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি।
ইলিউশিন-৭৬ তার ট্রিপ শেষ করার পরপরই মরুভূমিতে প্রিগোজিনের বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও সামনে আসে।
ওপেন সোর্স গ্রুপ অল আইজ অন ওয়াগনারের বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, যে পটভূমিতে তিনি তখন কথা বলছেন, সেখানে একটি পিক-আপ ট্রাক ছিল যা সাধারণত মালির সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে। মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে করা ভিডিওতে ওয়াগনার প্রধান বলেন, আফ্রিকাকে আমরা আরও স্বাধীন করছি।
প্রিগোজিন আরও বলেছিলেন, ‘আমরা কাজ করছি। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। ওয়াগনার পিএমসি অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, সব মহাদেশে রাশিয়াকে আরও মহান করে তুলছে এবং আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করে তুলছে।’
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস ও আল-কায়েদাসহ অন্যন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাও জানান ওয়াগনার প্রধান। তিনি বলেন, আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রশান্তি আর ন্যায়বিচার। আমরা আইএসআইএস, আল-কায়েদা ও অন্যান্য দুস্যদের জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করছি।