ওমান থেকে বছরে আরও ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির চুক্তি

0

ওমান হতে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী অতিরিক্ত ০.২৫ থেকে ১.৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার এনাম) এলএনজি আমদানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জি টু জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী ১.০ থেকে ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা ও Oman Trading International (বর্তমান নাম OQ Trading Limited-OQT) এর সাথে ২০১৮ সালে LNG’র Sale And Purchase Agreement (SPA) প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে OQT বর্তমানে বছরে ১.০ এমটিপি (১৬ কার্গো) এলএনজি সরবরাহ করছে। জি-টু-জি ভিত্তিতে OQ Trading Limited (OQT) হতে ১০ বছর মেয়াদে (২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৬ কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো এলএনজি যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি’র সমতুল্য) আমদানির লক্ষ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে Qatar Gas-এর সাথে ১৫ বছর মেয়াদী (২০১৮-২০২৩) ১.৮-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি (বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ, ৪০ কার্গো এলএনজি) এবং ২০২৩ এর ১জুন Qatar Energy Trading LLC-এর সাথে ১৫ বছর মেয়াদী (২০২৬-২০৪০) দ্বিতীয় চুক্তিতে অতিরিক্ত ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বর্তমানে বিদ্যমান দু‘টি চুক্তির আওতায় ৩.৫-৪.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান দু‘টি ভাস মান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে সহজেই ৬.৫ এমটিপিএ এলএনজি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে আরও ২.৫-৩.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা যেতে পারে। এছাড়া মহেশখালিতে ৩য় FSRUসহ পায়রায় একটি FSRU স্থাপনের বিষয়ে  নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ওমান সহ সংশ্লিষ্টদের আগত পিএসসিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, OQT এর নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী বক্তব্য রাখেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here