ভারতের ওড়িশা রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে শীর্ষ মাওবাদী তেলেগু কমান্ডার গনেশ উইকেসহ ছয় মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যটির রম্ভা ফরেস্ট রেঞ্জে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে তারা নিহত হন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গনেশ উইকে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চপদস্থ সদস্য এবং ওড়িশা অভিযানের প্রধান। তার মাথার ওপর এক কোটি ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা ছিল।
ওড়িশার কান্ধমাল ও গঞ্জাম জেলার সীমান্তবর্তী রম্ভা বন এলাকায় ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এর টিমগুলোর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষে উইকে নিহত হন। তার সঙ্গে দুই নারী বিদ্রোহীসহ আরও পাঁচজন নিহত হন।
এই অভিযানকে কয়েক বছরের মধ্যে মাওবাদী বিদ্রোহের বিরুদ্ধে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আঘাত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে রাজ্যটির মাওবাদী বিদ্রোহী নেতৃত্ব কার্যকরভাবে নির্মূল হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী বিদ্রোহীদের একটি সশস্ত্র স্কোয়াডকে ঘিরে ফেললে তারা গুলি শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়। দুপুরের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গনেশ উইকেসহ ছয় মাওবাদীর মরদেহ খুঁজে পায়।
উইকের মৃত্যুকে ওড়িশায় মাওবাদী বিদ্রোহের ‘মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া’ বলে বর্ণনা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ওড়িশার মালকানগিরি জেলায় ১০ নারী যোদ্ধাসহ ২২ জন মাওবাদী বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করেছিল।
নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি থ্রিনটথ্রি রাইফেলসহ বেশ কিছু উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। গনেশ উইকে পাক্কা হনুমন্ত, রাজেশ তিওয়ারি ও রূপা নামেও পরিচিত ছিলেন। ঝানু এই বিদ্রোহী এসেছিলেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের নালগোন্ডা জেলা থেকে।
ভারত সরকার ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশটি থেকে মাওবাদী বিদ্রোহ নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী মধ্যাঞ্চলীয় মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলোতে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। তাদের অভিযানে মে-তে সিপিআই (মাওবাদী) এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বাসবরাজ এবং নভেম্বরে শীর্ষ বিদ্রোহী কমান্ডার মাদভি হিদমা নিহত হন। সূত্র: এনডিটিভি

