এক ঝাঁক সবুজ পাতার ফাঁকে বাঁশের মতো সবুজ লিকলিকে কাটাযুক্ত গাছ। যেন গ্রামীণ পরিবেশকে এনে দিত বাড়তি শোভা। সময়ের জাঁতাকলে বেতের ঝোঁপের যেন দেখা মেলা ভার। তবে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বন বিভাগের রাস্তার পাশে এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে একটি ছোট বেত বাগান।
এক সময় গ্রামাঞ্চলে পথের ধারে, বাড়ির আশপাশে, পতিত জমি আর ঝোঁপঝাড় সর্বত্রই শোভা পেত সবুজ পাতার ছোট বড় বেত বাগান। দৃষ্টি কাড়তো এসব বাগান। অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন বেত বিক্রি করে। বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় বেত বাগান তেমন একটা দেখা যায় না।
ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি বলেন, এক সময় নীলফামারীতে বেতের চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ব্যবহার দেখা যেত। বর্তমানে প্লাস্টিকের কারণে বেত শিল্প প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। তবে বেত শিল্প এখন আর চোখেই পড়ে না। ব্যবহারও কমে গেছে। খুব সীমিত আকারে কিছু কিছু এলাকায় বেত বাগান দেখা যায়। নীলফামারীর মাটি বেত শিল্পের জন্য উবর্র হওয়ায় এখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্পটি অগ্রসর হতে পারবে। এটি পরিবেশ ও মানুষের জন্য পরিবেশবান্ধব। প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বেত শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে, তাই এটি আমাদের রক্ষা করা উচিত।
শিক্ষক রিফাত হাসান বলেন, আগে বাড়ির আনাচে-কানাচে বেত দেখা যেত। এখন সেভাবে আর চোখে পড়ে না। তবে ডোমার উপজেলার বনবিভাগে কিছু সংখ্যাক বেত রয়েছে। বেত শিল্পের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।
ডোমার উপজেলা রেঞ্জ বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, বেত কেটে কাঁচামাল হিসেবে বিক্রি করলে ব্যক্তি যেমন নিজে লাভবান হবেন। তেমনি সরকারও রাজস্ব পাবে। তবে আমাদের এখানে বেত কারখানা না থাকায়, এগুলো কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় না।

