ঐতিহাসিক বেতিয়ারা শহীদ দিবস শনিবার

0

ঐতিহাসিক বেতিয়ারা শহীদ দিবস ১১ নভেম্বর শনিবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা এলাকায় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর ৯ বীরযোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের এই ইতিহাসকে সমুজ্জল করে রাখতে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর পালিত হয় বেতিয়ারা শহীদ দিবস। 

নিহতরা হলেন নিজাম উদ্দিন আজাদ (ছাত্র নেতা), সিরাজুম মনির জাহাঙ্গীর, জহিরুল হক ভ‚ঁইয়া (দুদু মিয়া), মোহাম্মদ সফি উল্যাহ, আওলাদ হেসেন, আবদুল কাইউম, বশিরুল ইসলাম (বশির মাস্টার), শহীদ উল্যাহ সাউদ ও কাদের মিয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের এই ইতিহাসকে সমুজ্জল করে রাখতে প্রতি বছর এ দিনটিকে বেতিয়ারা শহীদ দিবস হিসেবে পালিত পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার পতাকা উত্তোলন, শহীদবেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ইত্যাদি নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক শত্রুমুক্ত কিনা পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের ও আবদুল মন্নানকে ওই সড়কে পাঠানো হয়। সিগনালের দায়িত্বে থাকা কাদের ও মন্নান মহাসড়ক শত্রুমুক্ত বলে রাত ১২টায় মূল বাহিনীকে জানান। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ গেরিলা বাহিনীর ৩৮ জনের এ দলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অতিক্রমের জন্য এগিয়ে আসে। এসময় সড়কের পশ্চিম পাশে গাছের আড়ালে আগে থেকে হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। এতে ৯ গেরিলাযোদ্ধা ঘটনাস্থলেই শহীদ হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর স্থানীয় জনগণ শহীদদের গলিত লাশগুলো উদ্ধার করে তৎকালীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেন। পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দিঘি নামের ওই অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। পরদিন ২৯ নভেম্বর স্থানীয় লোকজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে গর্ত থেকে লাশগুলো উঠিয়ে জানাজা দিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম পাশে দ্বিতীয়বার দাফন করেন এবং একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here