এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

0
এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

‘আমি মিসেস জামাল আনোয়ার। আমার হাজব্যান্ড ডক্টর জামাল আনোয়ার জার্মানিতে ছিল। কবির মেজো ছেলে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মারা যায়। বাবার স্মৃতি সব জায়গায় সে ধরে রাখতে চেয়েছিল। জার্মানি থেকে বছরে দুইবার-তিনবারও আসছে এই বাড়ির জন্য। এসে ৯-১০ মাস প্রতিবার থাকছে—এই স্মৃতিটা ধরার জন্য।’ 

‘আমরা একটা কবির ফ্যামিলি। আমার হাজব্যান্ডের মতন লোককে এ কে আজাদের কাছে দু-তিনবার আমি নিজে সঙ্গে করে নিয়ে গেছি। উনাকে নিয়ে গর্ব ছিল যে উনি আমাদের এলাকার লোক। দেখি যাইয়া। একটু বলি।আমার হাজব্যান্ডও নামি-দামি কম না। আর্সেনিকের ওপরে ডক্টরেট করছে। কবি জসীমউদ্দীনের ছেলে। তার মতো লোক এ কে আজাদের পিছে পিছে ঘুরছে। রোদের মধ্যে বইসা অপেক্ষা করছে, জমিটার যাতে সমাধান করে দেয়। কিন্তু আমরা কোনো সমাধান পাই নাই।’ 

‘কবির ফ্যামিলির সঙ্গে উনি তো এই কাজটা করতে পারে না। আমাদের সঙ্গে যদি উনি এই কাজটা করতে পারে, তাইলে সাধারণ মানুষের, জনগণের সঙ্গে উনি কী করে?’ 

‘কবি জসীমউদ্দীন একটা জাতীয় সম্পদ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাঁর ঐতিহ্য যদি নষ্ট করতে পারে এ কে আজাদ সাহেব, তাইলে সাধারণ জনগণের ওপরে তিনি কী করেন?’ 

‘আমার হাজব্যান্ডের স্বপ্ন ছিল হাসপাতাল করবে। জার্মানি থেকে ডাক্তার আসবে। গরিবদের চিকিৎসা করবে। এই কাজটা করতে পারল না—এইটা মনে পড়লে অনেক খারাপ লাগে। আমি মনে করি, এই জন্য এ কে আজাদ সাহেবরাই দায়ী। ওরা টাকা আর সম্পদই চিনে।’

‘এ কে আজাদ সাহেবকে আমি ভদ্র মানুষ মনে করছিলাম। সেটা আমি উনার মধ্যে পাইলাম না।’ 

‘ওই সকালবেলাতে অনাথের মোড়ের জায়গাটা নিয়ে তার টেনশন ছিল। সে সকালে উঠে কাপড় পরতে পরতে বলল, ডিসি সাহেবের কাছে যাব, যেন ঝামেলাটা মিটমাট করে দেয়। বলতে বলতে অসুস্থ হয়ে পড়ল। মারা গেল। আমি মনে করি, এই মৃত্যুর জন্য এ কে আজাদ ও তার ভাই দায়ী।’ 

‘আজকে আমার দুইটা বাচ্চা নিয়ে আমি কোথায় যাব বা কী করব। আমার পাশে একটা ছেলে মানুষ নেই, আমার দুইটা ভাই ছাড়া। আমার পাশে একটা শক্তির লোক নেই। এইটা খুব কষ্টদায়ক। আমার সারাক্ষণই মনে এটা কাজ করে যে এই জমির জন্য আমার স্বামী দুনিয়া থেকে চলে গেল।’ 

‘এখন এ কে আজাদরা বলে যে সে আমার বিল্ডিংও ভাইঙ্গা নিবে। তা আমার তো খালি জায়গা আছে, সে সেটা নিক। সেটা না নিয়ে সে আমার বিল্ডিংসুদ্ধা নিবে বলে। সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চাইব, সঠিক বিচারটা যেন পাই।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here