ইউরোপের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। খুব শিগগিরই এশিয়ার ফুটবলেও চালু হতে যাচ্ছে ‘নেশনস লিগ’। এতে আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের মতো দলগুলোর ম্যাচের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হারে বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এএফসি জানিয়েছে, ৪৭টি সদস্যদেশ নিয়ে তারা নেশনস লিগ চালু করতে যাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই—এশিয়ার জাতীয় দলগুলোকে নিয়মিত ও মানসম্পন্ন প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেওয়া।
ঠিক কবে এই নেশনস লিগ শুরু হবে, তা জানায়নি এএফসি। তবে তারা জানিয়েছে, খুব দ্রুতই শুরু হবে টুর্নামেন্টটি। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের বাইরে ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিতেই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
এএফসির জেনারেল সেক্রেটারি দাতুক সেরি উইন্ডসর জন বলেন, আমাদের ৪৭টি সদস্যদেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে এএফসি নেশনস লিগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিতে এমন কাঠামোর একটি টুর্নামেন্ট ফুটবল সূচিকে আরও আকর্ষণীয় করবে এবং মানসম্পন্ন ম্যাচ উপহার দেবে। একই সঙ্গে জাতীয় দলগুলো অবকাঠামো ও আর্থিক উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিতে পারবে।’
উয়েফার মতো যদি এএফসি চার স্তরের নেশনস লিগ চালু করে, তাহলে বাংলাদেশকে খেলতে হতে পারে তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরে। সেখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ওপরে ওঠার সুযোগ থাকবে। তাহলে ম্যাচ বাড়বে জামাল-হামজাদের।
বর্তমানে এএফসির ৪৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ৪৬টি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত। সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম। উয়েফার মতো চার স্তরের কাঠামো অনুসরণ করা হলে বাংলাদেশকে সম্ভাব্যভাবে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ স্তরে খেলতে হতে পারে।
তবে এখানেই সুযোগ। নিজ নিজ গ্রুপে ভালো পারফরম্যান্স করলে উচ্চতর স্তরে ওঠার পথ খুলে যাবে। পাশাপাশি প্রীতি ম্যাচের জন্য প্রতিপক্ষ খোঁজার ঝামেলাও কমবে সমিত সোম, হামজা চৌধুরীদের মতো খেলোয়াড়দের জন্য।

