বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এলডিসি গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষভাবে নীতি সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) মিলনায়তনে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাণিজ্য সচিব।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এ এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) এর সহযোগিতায় বিএফটিআই এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপর একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ওই গবেষণার উপর আজ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গ্রাজুয়েশনের বাণিজ্য-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি সনাক্তকরণ এবং অতিক্রম করার জন্য ১২টি সেক্টরের ট্রেড রোডম্যাপ সম্বলিত খসড়া গবেষণা প্রতিবেদনের উপর একটি মূল্যায়ণ তুলে ধরা হয়।
খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও এপিআই, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার ফুটওয়্যার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষি পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, সফটওয়্যার এবং আইটি-সম্পর্কিত সার্ভিস, পর্যটন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সার্ভিস।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, এনডিসি, বিএফটিআই’র পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।