প্রায়ই নিজের কাজে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমেরিকা সফরে গেলে তাকে ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে সম্বোধন করে বসেন তিনি। তারও আগে একবার ঋষি সুনাকের নামই বিকৃতি করে ফেলেছিলেন বাইডেন। কিছু দিন আগেই ইউক্রেনকে ইরানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেও তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বাইডেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকীয় প্রোটোকল ভেঙে রাজা তৃতীয় চার্লসকে স্পর্শ করছেন বাইডেন। তার আগে রাজাকে দাঁড় করিয়ে রেখে এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বাক্যালাপ চালিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে।
লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে জেলেনস্কিকে সম্বোধন করতে গিয়ে ‘ভ্লাদিমির’ বলে ফেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তৎক্ষণাৎ নিজের ভুল বুঝতে পেরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জেলেনস্কি বলেই সম্বোধন করতে থাকেন তিনি।
বুধবার ন্যাটোর বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, “ভ্লাদিমির এবং আমি বিষয়টা সম্পর্কে ততটাও অবহিত নই।”
নিজের ভুল বুঝতে পেরে পরের বাক্যেই বাইডেন বলেন, “জেলেনস্কি আর আমার মধ্যে এই বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে।”
বাইডেনের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়। কেউ কেউ বাইডেনের বক্তব্যের ভিডিও (যার সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি) শেয়ার করে লেখেন, “এই বৃদ্ধ মানুষটার এবার বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়েছে।”
আবার কেউ কেউ লেখেন, “এই ধরনের ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে।”
একসময়কার অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার অনেক সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত সাদৃশ্য রয়েছে। ভলোদিমির এবং ভ্লাদিমিরের মধ্যে অর্থগত দিক থেকেও বিশেষ ফারাক নেই। দু’টি শব্দের অর্থই হল ‘জগতের শাসক’ কিংবা ‘শান্তির শাসক’। তবে তা সত্ত্বেও এই নিয়ে বিতর্ক থামছে না। মুখ ফস্কে ভুল কথা বলে ফেলা কিংবা অন্যমনস্ক হয়ে নিয়মভঙ্গ আগেও করেছেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রবীণতম এই প্রেসিডেন্ট। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, নিউজ উইক, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে