এই ম্যাচকে ঘিরে শঙ্কা কম ছিল না পেপ গার্দিওলার। গত কয়েক বছরে সেমিফাইনালে আটকে যাওয়ার পিছুটান তো ছিলই। বড় দুর্ভাবনা ছিল ফুটবলারের ক্লান্তি ও শ্রান্তি। তবে মাঠে নেমে শেষ পর্যন্ত সবকিছুকেই উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দারুণ এই জয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ গার্দিওলা।
গত বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে খেলে শনিবার (২২ এপ্রিল) আবার এফএ কাপের সেমি-ফাইনাল খেলতে নামতে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে। চাঙা হয়ে মাঠে নামা তাই তাদের জন্য ছিল বড় এক চ্যালেঞ্জ। এই টুর্নামেন্টের সাম্প্রতিক ইতিহাসও চোখরাঙানি দিচ্ছিল দলকে। গত তিনবারই যে সেমি-ফাইনালে এসেই থমকে গেছে তাদের পথচলা।
তিনি বলেন, এই নিয়ে টানা চারবার আমরা সেমি-ফাইনাল খেললাম। সবশেষ তিনবার আর্সেনাল, চেলসি ও লিভাপুলের সঙ্গে খেলেছি এবং আমরা পারিনি। আজকে আমরা পারফর্ম করেছি।”
গার্দিওলা আরও বলেন, বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচের পরপরই এই ম্যাচ। আমরা কথা বলেছিলাম, কীভাবে নিজেদের আবার উজ্জীবিত করে মাঠে নেমে ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করতে পারি। ছেলেরা সবাই খুব ভালো করেছে। বাইরে থেকে যে ছেলেরা ফিরেছে… সবারই খেলা ছিল নিখুঁত। অনেক বছর পর আবার এফএ কাপের ফাইনালে উঠতে পেরে আমি সত্যিই খুশি ও সন্তুষ্ট।
এই ম্যাচের নায়ক মাহরেজ এমনিতে প্রিমিয়ার লিগে বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ নিয়মিত পান না। বায়ার্নের বিপক্ষেই যেমন দুই লেগের একটিতেও তাকে মাঠে নামাননি কোচ। তারকায় ঠাসা দলে সুযোগটা কঠিন। মাহরেজ যে ব্যাপারটা উপভোগ করেন না, সেটি জানেন গার্দিওলাও।
তিনি বলেন, যখনই সে খেলার সুযোগ না, তখনই সে আমার ওপর রুষ্ট হয়। সবসময়… এবং তার যে মেজাজ খারাপ হয়, সে সেটা আমাকে বুঝিয়েও দেয়। আজকে তেমন কিছু হয়নি। সে অসাধারণ এক ফুটবলার এবং আজকে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। সে সবচেয়ে বড় মঞ্চের ফুটবলার যার মানসিকতা আছে গোলের পর গোল করার।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ব্রাইটনের ম্যাচে জয়ী দলের সঙ্গে ফাইনালে খেলবে গুয়ার্দিওলার দল। সিটির সামনে এখন হাতছানি ট্রেবল জয়ের। লিগ শিরোপার লড়াইয়ে আছে তারা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পৌঁছে গেছে সেমি-ফাইনালে। ট্রেবল জিততে পারলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের ১৯৯৯ সালের কীর্তি স্পর্শ করতে পারবে তারা।