ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের বর্তমান চিত্র ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার প্রসঙ্গে নানা তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। জানানো হয়, নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। যেটি স্ত্রীরোগ ঘটিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে পরিণত হয়। জরায়ুর আস্তরণ গঠনকারী কোষের স্তরে শুরু হয় এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। যেটি জরায়ুর বডি/উপরিভাগের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। এতদিন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নারীদের প্রজনন অঙ্গের ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৬৭৮৮০ জন মানুষ এই ক্যান্সারে শনাক্ত হতে পারেন যার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ১৩২৫০ জনের। যদিও এই অনুমান ভিত্তিক সংখ্যার মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার এবং জরায়ু সারকোমা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে ২০০০ সাল এর মাঝামাঝি থেকে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭ ভাগ বেড়েছে।