দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর মেয়ে মিম্মাহার। বাবা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মিম্মাহার সবার ছোট। বড় ভাই-বোন কষ্ট করে লেখাপড়া করতে পারলেও বাবার মৃত্যুর পর অর্থাভাবে তিনি বেশিদূর পড়াশোনা চালাতে পারেননি।
মিম্মাহারের বয়স যখন ১৮ বছর ছুঁই ছুঁই, তখন তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। স্বামী মাসুদ রানাও পেশায় একজন কৃষক। কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে চলে তাঁদের সংসার। মিম্মাহার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করে শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন।
একই উপজেলার কাটলা গ্রামের কৃষক মাবুদ শাহের মেয়ে মাহমুদা আক্তারের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয়ে যায়। বর্তমানে তিন বছরের একটি ছেলে আছে তাঁর।
স্বামী আনারুল ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। হঠাৎ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আনারুল শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে কাজের ক্ষমতা হারান। তাঁদের পরিবার আটকে পড়ে অভাবের বেড়াজালে। কর্মহীন মাহমুদার পক্ষে স্বামীর চিকিৎসার খরচের পাশাপাশি সংসারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই স্বাবলম্বী হয়ে স্বামীর চিকিৎসা ও সংসারের খরচ জোগাতে তিনি শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন।
প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের সেলাই মেশিন উপহার পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সাহায্য করেছে বসুন্ধরা। এখন আমি আমার সংসারের খরচ চালানোসহ স্বামীর চিকিৎসার টাকারও জোগান দিতে পারব। আমার মতো অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ।’