এক হামলাতেই ৩৬ মোসাদ সদস্যকে হত্যার দাবি ইরানের

0
এক হামলাতেই ৩৬ মোসাদ সদস্যকে হত্যার দাবি ইরানের

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি মোহাম্মদ নাইনির দাবি, গত মধ্য-জুনে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক হামলা চালায় তার দেশ। হাইফা তেল শোধনাগারে দুটি সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেন তিনি। মোসাদের একটি গোয়েন্দা স্থাপনা লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাইনি জানান, ইরান ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত হাইফা শহরের বৃহত্তম তেল শোধনাগারটিতে দুই বার আঘাত হানে এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরান দুর্বল হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের এই ধারণা ছিলো সম্পূর্ণ ভুল। তার মতে, ইসরায়েল ভেবেছিলো পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রগুলোতে আঘাত এবং কমান্ডারদের হত্যার জবাব ইরান দিতে পারবে না। আর এই ভুল হিসাবের ভিত্তিতেই ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা প্ররোচনায় ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এতে ইরানের বহু উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-এর মারাত্মক লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দেয়।

তবে, ২৪ জুন ইরানের টানা পাল্টা প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয় বলে দাবি করেছেন নাইনি।

১২ দিনের যুদ্ধে চীন ও রাশিয়ার কাছে ইরানের সাহায্য না চাওয়ার বিষয়ে নাইনি বলেন, সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সামরিক হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধে জড়ানো হয়। যেহেতু চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনো সামরিক চুক্তি ছিল না, তাই আমরা কোনো অনুরোধ করিনি। 

সূত্র: প্রেস টিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here