একদিনে তিন হাজার ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি

0

ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও রিমালপরবর্তী সময়ে দেশে তিন হাজার ৩৩৫ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। সোমবার রাতে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ বর্ষণ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায় ১৮৭ মিলিমিটার। এছাড়া সাতক্ষীরায় ১৭২ মিলিমিটার, খুলনায় ১৬৩ মিলিমিটার, গোপালগঞ্জে ১৫১ মিলিমিটার, বরিশালে ১৪৭ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১৪৬ মিলিমিটার, চাঁদপুর ও ফেনীতে ১৩৯ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১১৩ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের বিভিন্ন স্টেশনে ২৪ ঘণ্টায় মোট তিন হাজার ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) বৃষ্টিপাত আরেকটু কমে যাবে। কোথাও কোথাও হালকা, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here