‘জার্মান পোস্ট কোড লটারি চ্যারিটি উৎসব ২০২৩’-এ ভাষণ দিলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৪ মে) জার্মানীর ডুসেলডর্ফে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেন তিনি।
জার্মান পোস্ট কোড লটারী ইউরোপীয় পাঁচটি দেশের পোস্ট কোড লটারিগুলির অন্যতম। এই দেশগুলির ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ পোস্টকোডের ভিত্তিতে এই লটারিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন। পোস্ট কোড লটারি থেকে যে আয় হয়ে থাকে তার ৩৩ থেকে ৪০ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিচালিত চ্যারিটিগুলিতে দান করা হয়। ডাচ পোস্ট কোড লটারি এবং জার্মান পোস্ট কোড লটারি অনেক বছর ধরে ‘ওয়াইওয়াই’ (YY) ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনকে সমর্থন করে আসছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের পর বিশ্বখ্যাত অভিনেতা ও সমাজকর্মী জর্জ ক্লুনি তার কাজ ও অভিজ্ঞতার কাহিনী বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য, জর্জ ক্লুনিও পোস্ট কোড লটারির আন্তর্জাতিক দূত হিসেবে কাজ করছেন। তার বক্তব্যে ক্লুনি দক্ষিণ সুদান, ডারফুর ও অন্যান্য যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত এলাকাগুলির পুনর্গঠন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রফেসর ইউনূস প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ মডেল কীভাবে একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে কাজ করছে তা উল্লেখ করেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণকে একটি ‘অসাধারণরকম সফল’ পদ্ধতি বলে এর প্রশংসা করেন এবং এই অসামান্য আইডিয়াটি উদ্ভাবনের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
উৎসবের পূর্বে প্রফেসর ইউনূস ও জর্জ ক্লুনির মধ্যে একটি পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা দুইজনই ইতোপূর্বে একসঙ্গে কাজ করেছেন। জর্জ ক্লুনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে এবং কোভিড-১৯ টিকাকে একটি বিনামূল্য বৈশ্বিক গনপণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে স্বাক্ষর করেন। তার সাথে আলোচনায় ক্লুনি বলেন, ড. ইউনূস উদ্ভাবিত ক্ষুদ্রঋণ মডেল তাদের ‘ক্লুনি ফাউন্ডেশন’-এর অধীনে যেসব এলাকায় কাজ করছেন সেখানকার মানুষদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
চ্যারিটি উৎসবে জার্মানীর ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে জার্মানীর প্রধান প্রধান চ্যারিটিগুলির প্রতিনিধিরা ছাড়াও লটারির বিজয়ীরা ছিলেন যাদের কয়েকজন তাদের লটারিলব্ধ অর্থ কীভাবে ব্যবহার করেছেন তার বিবরণ দেন।