শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭–এর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ক্ষেত্রে ঝুঁকিভিত্তিক প্রবিধান গ্রহণ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। রবিবার জাপানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাঁরা এ বিষয়ে একমত হন।
জি-৭-এর ডিজিটাল মন্ত্রীরা দুই দিনের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এআই প্রযুক্তির বিকাশের জন্য এ ধরনের প্রবিধান গ্রহণ করা হলেও তার জন্য একটি উন্মুক্ত এবং সক্ষম পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত। প্রবিধান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। তবে তারা স্বীকার করেছেন, বিশ্বস্ত এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ–সংক্রান্ত নীতিমালা জি–৭ দেশগুলোর মধ্যে আলাদা হতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গ্রেথ ভেস্টেগার বলেন, ‘জি–৭–এর বৈঠকের শেষে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ ক্ষেত্রে আমরা একা নই।’
গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি প্রোগ্রামটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।
মন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জেনারেটিভ এআইয়ের ওপর ভবিষ্যতে আলোচনা চালিয়ে যাব। এতে সরকার পরিকল্পনা, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা ও তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করা যায়।’
জি–৭–এর সদস্যভুক্ত দেশ ইতালি ব্যক্তিগত তথ্যনীতি সম্ভাব্য লঙ্ঘনের তদন্ত করতে গত মাসে চ্যাটজিপিটিকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। তবে গত শুক্রবার দেশটি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।