উপকূলীয় তিন অঞ্চলে কমছে তিন ফসলি জমি

0

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর তিন উপকূলীয় এলাকায় কমছে তিন ফসলি জমি। শুষ্ক মৌসুমে চর জেগে ওঠায় ফসল আবাদে প্রভাব পড়ছে তিন অঞ্চলে। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে তিন ফসলি জমি। পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় তিনবার ফসল আবাদ করা হতো ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১৩ হেক্টর জমিতে। এই পাঁচ বছরে প্রায় ৪২ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে আবাদ কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লবণসহিষ্ণু জাতের ফসলের আবাদ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদন যতই বাড়ুক কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া কৃষি খাতের জন্য বড় হুমকি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আমনের ফসল ভালো হয়। লবণাক্ততার কারণে বোরো ও আউশ চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সময়ে মধ্যম লবণাক্ত জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি-৬৭, ব্রি-৯৭ ও ব্রি-৯৯ ধান চাষ করা যেতে পারে। একইভাবে আমনের জন্য নতুন লবণাক্ততা সহনশীল জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এরপরও অতিরিক্ত লবণাক্ত জমিতে খুলনা অঞ্চলের মতো বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যেতে পারে।

এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক ফসলি চাষাবাদ ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫ হেক্টরে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১১৫ হেক্টর। অন্যদিকে একফসলি জমির মতো দুই ফসলি জমির আবাদের পরিমাণ প্রতিবছরও বাড়ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমিতে বছরে অন্তত দুবার ফসল আবাদ হলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৪ হেক্টর।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া, উপকূলীয় এলাকায় চর জেগে যাওয়া বড় কারণ। যার কারণে কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল লাগাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিন ফসলি জমিগুলোতে আবাদ কম হলেও যেসব জমিতে আগে এক ফসল হতো এখন সেখানে বছরে দুবার ফসল আবাদ করছেন কৃষকরা। তবে কৃষকদের সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি, পানির সংকট ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে তিন ফসলি জমিতে দুবার ফসল আবাদ হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here