উত্তেজনার মধ্যেই শাফাকসহ ভারী অস্ত্রের প্রদর্শনী করল ইরান

0

মধ্যপ্রাচ্যে অঘোষিতভাবেই মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। যদিও দুই চির বৈরি এখনও সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি। তবে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও রয়েসয়ে দিচ্ছে সেই হামলার জবাব। এই টানটান উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের নতুন অস্ত্রের প্রদর্শনী করলো ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর উড্ডয়ন ইউনিট এবার স্মার্ট ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে। যেখানে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নানা রকমের সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

ইরানি বিশেষজ্ঞদের তৈরি শাফাক নামের মিসাইল ছিল এই প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এয়ার টু সারফেস নিক্ষেপণ যোগ্য। এই অস্ত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুলরাহিম মুসাভি, ইরানি সেনাবাহিনীর গ্রাউন্ড ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার কিউমারস হায়দারিসহ অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হাজির ছিলেন এই প্রদর্শনীতে। 

এছাড়াও ইউসেফ নাইট ভিশন সিস্টেমও প্রদর্শন করা হয়। ইরানে তৈরি এই সিস্টেম অন্ধকারেও শত্রুদের অবস্থান, দূরত্ব ও আবহাওয়া পরিস্থিতি বুঝতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। অনেক দূর থেকে ঘোর অন্ধকারেও এই সিস্টেম কাজে লাগিয়ে শত্রুদের নিশানা করা যাবে। এই ইউসেফে আছে জুম ক্যামেরা, পিআইডি কন্ট্রোল প্রযুক্তির মতো সুবিধাও । সব ধরনের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও আকাশযানেও ব্যবহার করা যাবে এই নাইট ভিশন সিস্টেম। 

প্রদর্শনীতে কম্ব্যাট স্টিমুলেশন সিস্টেম, এয়ার-বর্ন সেলফ প্রোটেকশন সিস্টেম ও বিভিন্ন ধরনের দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল, সুইসাইড সুইচ ব্লেড ও মোহারররম ড্রোনের মতো সররাস্ত্র জায়গা পায়। কদর-২৯ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল এই প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ। হেলিকপ্টারে স্থাপনযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেড়শ’ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারবে। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here