উঠানে আঙুর চমক

0

স্ট্রবেরি চাষের পর এবার বাড়ির উঠানে আঙুর চাষ করে চমক দেখিয়েছেন গৃহিণী হনুফা আক্তার। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ৪ শতক জমিতে আঙুর চাষ করেছেন। হনুফা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পশ্চিম সিংহ গ্রামের আবদুর রউফের স্ত্রী। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে দুটি বাঁশের মাচা। সেখানে হালকা বাতাসে থোকায় থোকায় আঙুর দুলছে। হনুফা আঙুর কেটে পাত্রে রাখছেন। প্রতিবেশী শিশুরা ভিড় করলে তাদের হাতেও তুলে দিচ্ছেন।

হনুফা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে আঙুর চাষের কথা শুনে আমারও ইচ্ছে হয়। আগ্রহের কথা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম আপাকে জানালে তিনি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেন। এরপর নীলফামারী থেকে চারা আনি। এ কাজে আমার প্রবাসী স্বামী ও শ্বশুর সহযোগিতা করছেন। প্রথমবার ৪ শতক জমিতে চাষ করেছি। এখানে ফলন হবে না বলে হাসাহাসি করলেও এখন অনেক প্রতিবেশী আঙুরবাগান দেখতে আসেন। নিজেরাও চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আঙুরের স্বাদ বেশ ভালো। কয়েক কেজি স্বজনদের মাঝে বিতরণ করেছি।’বাগান দেখতে আসা প্রতিবেশী রুমি আক্তার ও শিউলি আক্তার বলেন, ‘হনুফা ভাবি পরিশ্রমী ও সাহসী মানুষ। তিনি আগে বাড়ির পাশে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। এবার উঠানে আঙুর চাষ করলেন। আগে কখনো আঙুরের বাগান দেখিনি। এখন দেখে ভালো লাগছে। তাঁর চাষ দেখে আমাদের স্বজনরাও আঙুরের বাগান করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।’

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিণা আক্তার বলেন, ‘হনুফা আক্তার উদ্যমী কিষানি। তিনি নতুন ফসল করতে সব সময় আগ্রহী। তাঁর আঙুর চাষ দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘দেশে দিনদিন আঙুর চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। হনুফা আক্তারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পর্যায়ক্রমে গবেষণার মাধ্যমে আঙুরের স্বাদ ও ফলন আরও ভালো হবে আশা করছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here