আগামীকাল শনিবার সারা দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ দিন উপলক্ষে প্রস্তুত রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।
সব বয়সী দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানাও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারে ঈদের ছুটিতে তারা ৫ লক্ষাধিক দর্শনার্থী আশা করছেন। শুক্রবার গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার গণমাধ্যমে বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাজসজ্জার কাজ করা হয়েছে। এবার ছুটিতে পাঁচ লক্ষাধিক দর্শনার্থী আশা করছি আমরা। তাদের জটলা দূর করতে আমরা প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে লম্বা কিউ (প্রবেশমুখ) তৈরি করেছি। মূল প্রবেশ পথে সাজানো হয়েছে রঙিন পতাকা দিয়ে। চিড়িয়াখানা সংলগ্ন রাস্তায় যেন যানজট তৈরি না হয় সেজন্য ট্রাফিক ও সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছি।
চিড়িয়াখানার শেড ও শেডের বাইরের স্থানগুলো পরিষ্কার ও দুর্গন্ধ মুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে রং করে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। ঘুরতে আসা বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। চিড়িয়াখানার তথ্যকেন্দ্র থেকে এই চেয়ার পাওয়া যাবে। দর্শনার্থীরা যাতে পর্যাপ্ত পানির সুবিধা পান সেজন্য পুরনো কল মেরামত করা হয়েছে। চারটি গুচ্ছ টয়লেট রয়েছে, যাতে একই সময়ে অন্তত ১০ জন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে পারেন। আমাদের যেগুলো টয়লেট আছে সেগুলোই মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মান উন্নত করেছি।
তিনি আরও বলেন, শিশুরাই চিড়িয়াখানার মূল দর্শক। তাদের জন্য চিড়িয়াখানায় শিশু পার্ক ও জাদুঘর আছে। চিড়িয়াখানা শিক্ষারও একটা মাধ্যম। সে জন্যই পার্কটি তৈরি করা।
ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে পরিচালক আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে তারা যেন সুস্থ ও নিরাপদভাবে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে বেরিয়ে যেতে পারেন। আমরা এটি নিয়ে কাজ করেছি। ইতোমধ্যে আমরা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী সব সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে ঈদের সময়টা অধিকসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য চিড়িয়াখানার ভেতরে ও বাইরে দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৩টি বাঘ; ৭টি সিংহ; ৫টি হাতি; ৭টি জিরাফ; ৮টি জেব্রা; ১৩টি জলহস্তী; দুটি ক্যাঙ্গারু; চারটি ভাল্লুক; ৩টি হায়েনা ও ১টি গণ্ডার রয়েছে।