ইসরায়েলের পর এবার তুরস্কের বিরুদ্ধে ‘মেঘ চুরির’ অভিযোগ ইরানের

0

ইসরায়েলের পর এবার তুরস্কের বিরুদ্ধে কৃত্রিমভাবে ভারী মেঘ তাড়িয়ে নিজেদের আকাশে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুললো ইরান। তুর্কিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন খরা কবলিত ইরানিরা। এর আগে, ২০১৮ সালে জলবায়ুতে প্রভাব খাটিয়ে মেঘ ও তুষার চুরির জন্য আরেক প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান।

বলা হয়েছে, তুরস্কের আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর পর্বতশৃঙ্গ তুষার আবৃত হওয়া সত্ত্বেও সীমান্তের আরেক পাশে ইরানের আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই, দেশজুড়ে চলছে খরা আর অনাবৃষ্টি। সীমান্ত লাগোয়া দুই দেশের মধ্যে জলবায়ুর ধরনে এত পার্থক্য কেন হবে তা নিয়ে ইরানিদের মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধে। নাগরিকদের কেউ কেউ বলছেন, তুর্কিরা কোনো ভাবে ইরানের মেঘ (চুরি করে) আকাশ থেকে সরিয়ে নিজেদের অংশে নিয়ে যাচ্ছে। 

সাধারণত ‘মেঘ চুরি’ বলতে- আকাশে ভেসে বেড়ানো ভারী মেঘ তাড়িয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। গবেষণায় বলা হয়, ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে এমন চুরি সম্ভব। এ পদ্ধতিটি হলো কৃত্রিমভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন কৌশল, যেভাবে হালকা মেঘের ভেতরে এমন কিছু উপাদান ছড়িয়ে দেয়া হয় যাতে মেঘ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি বা তুষার হয়ে ঝরার উপযোগী হয়। তবে এ প্রক্রিয়ার সফলতা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ক্লাউড সিডিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন আবহাওয়া বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানের ঐতিহাসিক জেমস ফ্লেমিং বলেন, ‘ক্লাউড সিডিংয়ের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব হলো, এতে সন্দেহের অবকাশ থাকে যে, প্রতিবেশী দেশ বৃষ্টি চুরির চেষ্টা করছে বা গোপনে পরিবেশগত বিরোধ বাঁধানোর চেষ্টা করছে।’ ফ্লেমিং আরও বলেন, ‘মেঘ কখনো এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে না। এগুলো ক্ষণস্থায়ী যা গতিশীল পরিবেশে গঠিত এবং ক্রমাগত মিলিয়ে যেতে থাকে।’ তবে যে দেশের মেঘে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে কোনো নিশ্চয়তা নেই যে, ওই দেশেই এটি বৃষ্টি বা তুষায় হয়ে নামবে। কারণ মেঘ আকাশে দ্রুত গতিতে ভেসে বেড়ায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here