মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়া এলাকার একটি ভবনে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ড্রোন থেকে পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান সালেহ আল আরুরি ও কাসাম ব্রিগেডসের দুই কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়।
ইসরায়েলের ওই হামলায় আশেপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।
কে এই সালেহ আল আরুরি?
সালেহ আল আরুরি (৫৭) ছিলেন ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান। তিনি ছিলেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
সালেহ আল আরুরির জন্ম ১৯৬৬ সালে, ফিলিস্তিনের রামাল্লাহ’র কাছাকাছি আরুরা গ্রামে। তিনি ইসলামি শরিয়া বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হামাসে যোগ দেন।
আরুরি ছিলেন একজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি, যিনি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কারাগারে ১৫ বছর কাটিয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তিনি লেবাননে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন।
আরুরি ২০১১ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাত শালিতের মুক্তির বিনিময়ে বহু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি আরুরি হামাসের অন্যতম মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। গত মাসে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছিলেন- হামাস গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে জিম্মি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা করবে না। সূত্র: আল জাজিরা, প্রেসটিভি