আবারও হুথি যোদ্ধারা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা সব ইসরায়েলি জাহাজকে তারা তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাবেই। কোনো জাহাজকে তারা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না।
হুথির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসের আল আতেফি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলি মালিকানাধীন বা এই সংশ্লিষ্ট কোনো জাহাজ চলে; তবে তার দিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চলবেই। তিনি আরো বলেছেন, গাজার সমর্থনে আমাদের নৌ বাহিনী ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে মিসাইল, ড্রোন শক্তি নিয়ে স্বতন্ত্র কিংবা সমন্বিত হামলা চালাতে প্রস্তুত।
মার্কিন নৌবাহিনী দাবি করেছে, তারা হুথি যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে। হুথি গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি জাহাজ জব্দ করেছিল। এরপরই কয়েকটি জাহাজে তারা হামলা চালায়। আর সেই জাহাজটিকে তারা পর্যটন কেন্দ্র বানিয়েছে। ৫০০ ইয়েমেনি ডলারের বিনিময়ে জাহাজটিতে ঘুরতে যেতে পারছেন দর্শনার্থীরা। ওই জাহাজে উঠে মানুষদেরকে আনন্দ উল্লাস করতেও দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, লোকজনকে নিয়ে জব্দ জাহাজটি হোদাইদা উপকূলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসময় অনেককে ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের পতাকাও ওড়াতে দেখা যায়।
হুথিদের লোহিত সাগরে হামলা থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক উপায়ে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ইয়েমেনের নানা দপ্তরে ঘুরছে। তবে হুথির শর্ত একটাই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালানো বন্ধ করবে না। ইরানও পেছনে থেকে হুথি যোদ্ধাদের রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আপাতত নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।