ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতে ইরানের নেতা বলেছেন, ‘ইরাকে একজন আমেরিকানের উপস্থিতিও অনেক বেশি।’
আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রতিহত করার অংশ হিসাবে ইরাকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি রয়েছে। ইরান চায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা প্রতিবেশী দেশ ইরাক ছেড়ে চলে যাক। এটা বোঝাতেই খামেনি এমন মন্তব্য করেছেন।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘আমেরিকানরা ইরানের বন্ধু নয়। তাদের (আমেরিকানদের) কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই এমনকি ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও তারা বিশ্বস্ত নয়।’
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রতিবেশী দেশ ইরাক থেকে আমেরিকানদের বহিষ্কারের আলাপের পাশাপাশি ইরানের কাছে ইরাকের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। গত মাসে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক চুক্তি করে। খামেনি এই চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন আহ্বান করেন।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইরান ও ইরাকের মধ্যে শক্তিশালী শত্রুরা প্রবেশ করে ডালপালা মেলছে। কঠিন ঐতিহাসিক এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে তেহরান-বাগদাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি না হলে, দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক সাদ্দাম হোসেন যুগের জায়গায় চলে যাবে। খামেনি ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কথা উল্লেখ করেন যিনি (সাদ্দাম হোসেন) ইরানের ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পরপরই তেহরানে হানা দিয়েছিলেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ বলেন, তার দেশ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিবে এবং দুই দেশের মত-পার্থক্যের সমাধান চায়।