ইতিহাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে ইরানের মুদ্রা রিয়াল। সোমবার আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, মুক্তবাজারে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে রিয়ালের মূল্য প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজারে পৌঁছেছে।
২০১৮ সালে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য ছিল প্রায় ৫৫ হাজার। ওই সময় প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ সীমিত করার মাধ্যমে তেহরানকে আলোচনায় বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছিল।
ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সরকারের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতির কারণে মুক্তবাজারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তবাজার হলো সেই বাজার, যেখানে সাধারণ ইরানিরা বৈদেশিক মুদ্রা কেনেন, আর ব্যবসায়ীরা সাধারণত রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বিনিময় হার ব্যবহার করেন।
তবে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য মুক্তবাজার থেকে ডলার সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ায় ওই বাজারে চাপ আরো বেড়েছে এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আধা-সরকারি ফারস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। ইরানের অর্থনীতি মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশটির অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ২.৮ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি। ইরানের পরিসংখ্যান কেন্দ্র জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে মাসিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৪৮.৬ শতাংশ, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মূল্যস্ফীতির এই চাপ সত্ত্বেও ইরান গত মাসে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট শর্তে ডিসেম্বর থেকে জ্বালানির দাম বাড়ানো হবে, যা মূলত মাসে ১০০ লিটারের বেশি জ্বালানি ব্যবহারকারী চালকদের ওপর প্রভাব ফেলবে।
সূত্র : রয়টার্স।

