বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পল্লীতে ‘ইউটিউব’ দেখে হাত-পা, মুখ বেঁধে সুন্নতে খতনা দেয়ার পর শ্বাসরোধ করে শিহাব শেখ নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হিজলা গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানের নের্তৃত্বে রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশুটির ঘাতক ইউটিউবার হামীম শেখকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত শিশু শিহাব শেখ চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ফরহাদ শেখের একমাত্র সন্তান।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. রাসেলুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের দরিদ্র ফরহাদ শেখ স্ত্রী ও একমাত্র শিশু সন্তান শিহাব শেখকে নিয়ে একই উপজেলার হিজলা গ্রামে শশুর মো. মনু শিকদারের বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বুধবার সন্ধ্যায় মনু শিকদারের প্রতিবেশী রমজান শেখের ছেলে ইউটিউবার হামীম শেখ সাড়ে তিন বছরের শিশু শিহাব শেখ বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় বিস্কুট খেতে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের পাশের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর হামীম শেখ তার বসতঘরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কাচি দিয়ে শিশুটির বিশেষ অঙ্গের মাথার চামড়া কেটে সুন্নতে খতনা দেয়। শিশুটির খতনার কাটাস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে লেপ দিয়ে ঢেকে রাখে হামীম শেখ পালিয়ে যায়। এদিকে শিশুটিকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার পর হামীম শেখের বসতঘরে বারান্দায় শিশুটির পায়ের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে শেখের বসতঘরের মধ্য থেকে শিশুটিতে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা জানায় আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার একমাত্র সন্তানের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে ঘাতক ইউটিউবার হামীম শেখকে একমাত্র আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির মরদেহের ময়না তদন্ত বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।