দেড় বছর ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধের এই সময়ে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের কাছে ইউক্রেনকে দেওয়া নিরাপত্তা সহায়তার বিস্তারিত জানতে চেয়ে হোয়াইট হাউসের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিসে (ওএমবি) চিঠি দিয়েছিলেন ৩০ জনেরও বেশি রিপাবলিকান সিনেটর। এর জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।
এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার হিসাবসহ এগুলো দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ওএমবি পরিচালক শালানদা ইয়াং।
তিনি বলেছেন, রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণের পরে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করছে ইউক্রেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সমর্থন যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সাফল্য ও কঠোর পরিস্থিতিতে এর জনগণের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইয়াং বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনীয়দের সহায়তার ব্যাপারে মার্কিন করদাতারা যেন আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন, তার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জরুরি। এ বিষয়ে একমত বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চিঠির সঙ্গে সহায়তার বিবরণের একটি চার্টও যুক্ত করেছেন ওএমবি পরিচালক। এতে দেখা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত সর্বমোট ১০ হাজার ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার খরচ করেছে এবং এর বাইরে আরও ৯৮০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তাছাড়া, ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা অনুমোদনের জন্য গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সূত্র: ফক্স নিউজ