শান্তি আলোচনার পর যুদ্ধের অবসান হলে ইউক্রেনের পক্ষে ৮ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। সামরিক ব্যয় পরিচালনা করতে অর্থায়নের জন্য পশ্চিমাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘কিয়েভ রেজিম ক্রাইম’-বিষয়ক দূত রোদিওন মিরোশনিক।
রাশিয়া-১ টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ইউক্রেন বিশাল সেনাবাহিনীকে অর্থায়ন করতে পারবে? না, তা হবে না। এর জন্য আমাদের আর্থিক সম্পদের অভাব রয়েছে। এ কারণে পশ্চিমা নেতাদের সাথে আমাদের সেনাবাহিনীর আংশিক অর্থায়নের বিষয়ে অংশীদারদের ব্যয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য পশ্চিমা অর্থায়ন ‘কয়েক বছর ধরে’ প্রয়োজন হবে যতক্ষণ না কিয়েভ নিজেই এটি করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, এটা এমন এক বাহিনী, যাকে অন্য কেউ খাওয়াবে। এটা এমন এক দেশ, যাকে অন্য কেউ চালাবে। কেউ এর খরচ বহন করবে, আর কেউ একে ব্যবহার করবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আঘাত হানতে।
উল্লেখ্য, মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার প্রাথমিক সংস্করণের অধীনে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংখ্যা ৬ লাখ নামিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিয়েভ এবং ইউরোপীয় নেতারা জোর দিয়ে বলছেন যে ইউক্রেনের ৮ লাখ সেনা রয়েছে।
এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার সময় ইউক্রেন একটি ২০ দফার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

