রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন। এই পদক্ষেপের পর এরই মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে সাতটি গ্রাম ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে তিন নেতা আলোচনা করলেন- কী করে ইউক্রেনকে এই বিষয়ে আরও সাহায্য করা হবে এবং কী করে ইউক্রেন রাশিয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবে? ইউক্রেনকে আর কী সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে?
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, “আমরা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব। আমরা ইউক্রনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছি। আগামী দিনেও সেই সাহায্য করে যাব।”
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি
পোলান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা সোমবার প্যারিস পৌঁছান। এরপর সেখানে পৌঁছান জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ডুডা বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব এবার অনুমোদন করা উচিত। ইউক্রেনও আবেদন জানিয়েছে, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যেন তাদের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা ন্যাটো-ইউক্রেন কমিশনের জায়গায় নতুন ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল গঠন করার কথা বলেছে। তারা মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ও সিদ্ধান্ত নেবে।
শলৎস বলেছেন, “এখন প্রয়োজন হল- ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাওয়া। যতদিন দরকার আমরা সেটাই করে যাব।”
কেন একজোট জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড?
১৯৯১ সালে জার্মানির ওয়েইমারে পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি একসঙ্গে বৈঠক করে। এর নাম হয় ওয়েইমার ত্রিভুজ। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল পোল্যান্ড-সহ সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে ন্যাটোর কাছে নিয়ে আসা।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর পুরো প্রেক্ষাপটটা বদলে যায়। ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে তিন দেশের নেতারা একজোট হয়েছিলেন। আবার ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখে তারা বৈঠক করেন।
রাশিয়া নিয়ে পোল্যান্ড কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। ডুডা অতীতে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের কড়া সমালোচনা করেছেন। সূত্র: এবিসি নিউজ, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স