যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন মর্যাদায় কিংবা ট্যুরিস্ট হিসেবে অথবা দক্ষ কর্মী বা আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ভিসায় আগ্রহীদের সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের পরই ভিসা প্রদান করা হবে। ‘ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস’ তথা ইউএসসিআইএস বুধবার এক ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ পরিপন্থী তৎপরতায় লিপ্ত ছিল বা আছে এমন আবেদনকারীর ভিসার আবেদন নাকচ করা হবে । এমনকি ইসরায়েলের বিরোধিতা কিংবা ফিলিস্তিনিদের পক্ষাবলম্বন করার কোনো মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভিসা নাকচের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
এমন নির্দেশনা প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের বহু পুরাতন বাক-স্বাধীনতা হরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ উঠেছে মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। ইউএসসিআইএস’র এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে গ্রিনকার্ডধারী কিংবা নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীরাও গভীর সংকটে পড়বেন।
ইতিমধ্যেই গাজায় বর্বরতায় লিপ্ত ইসরায়েলের নিন্দা ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্যে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট’ ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। গ্রিনকার্ড কেড়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়াও অবলম্বন করা হয়েছে—যা কেউ কখনো ভাবেনি।
ইউএসসিআইএস বলেছে, এখন থেকে ভিসা ইস্যুর পূর্বশর্ত হিসেবে আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট পর্যালোচনা করা হবে। যদি দেখা যায়, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন অথবা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হামাস বাহিনীসহ অন্যদের পক্ষাবলম্বন করে মতামত ব্যক্ত করেছেন অথবা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে, তাহলে ভিসার আবেদনটি নাকচের পর্যায়ে পড়বে। এমনকি, ভিসা ইস্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময়েও যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন আচরণ ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে ভিসা বাতিল করা হবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ত্রিসিয়া ম্যাকললিন আরো উল্লেখ করেছেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নঈম স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর অজুহাতে কেউ যদি সন্ত্রাসবাদের পক্ষাবলম্বনের চেষ্টা করে, তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব বহিষ্কার করা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল