ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলে নিষিদ্ধ ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়রা

0

আগামী মৌসুম থেকে ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলে খেলতে পারবেন না ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়রা। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। 

ইএসপিএন-এর এক প্রতিবেদনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নতুন এই নীতি আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।

ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি একটি আইন পাশ হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র জৈবিক নারীদেরই আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই আইনের প্রেক্ষাপটে এফএ নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো।

এফএ তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইন, বিজ্ঞান অথবা স্থানীয় ফুটবলের স্বার্থে যদি এই নীতির কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তবে আমরা বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবো। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আপাতত নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হলো।

এই সিদ্ধান্তের ফলে চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ডের স্থানীয় লিগগুলোতে খেলা প্রায় ২০ জন ট্রান্স নারী খেলোয়াড় আগামী মৌসুম থেকে আর অংশ নিতে পারবেন না।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, নারীদের খেলাধুলায় জৈবিক পার্থক্য বজায় রাখার পাশাপাশি দেশের আইন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এফএ-এর এই নতুন নীতির সমালোচনাও করেছেন অনেকে। ‘ফুটবল বনাম ট্রান্সফোবিয়া’ নামক একটি গোষ্ঠীর নাটালি ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক ট্রান্স খেলোয়াড় যারা পুরুষদের দলে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবে খেলতে চান না, তাদের জন্য খেলার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, কিছু ট্রান্স অধিকার গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানালেও বেশিরভাগ নারী অধিকার সংগঠন এফএ-এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। নারী অধিকার সংগঠন ‘সেক্স ম্যাটার্স’ গ্রুপের ফিওনা ম্যাকানেনা এই সিদ্ধান্তকে দেরিতে হলেও সঠিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর শর্ত এটাই প্রমাণ করে যে ট্রান্স নারীরা জৈবিক নারী নন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here