আল-শিফা হাসপাতালে সুড়ঙ্গ পাওয়ার দাবি ভিত্তিহীন: হামাস

0

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিচে প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটি আছে দাবি করে কয়েকদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। শত শত রোগী জীবন বিপন্ন হওয়ার বৈশ্বিক আশংকা সত্ত্বেও থামেনি আইডিএফ। এবার থাকা হামাসের ব্যবহৃত একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে তারা। তবে হামাস বলছে ইসরায়েলের এই দাবি ‘ভিত্তিহীন’।

এদিকে গাজায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ পরিষেবা। এমন ঘটনাপ্রবাহে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে আজ শুক্রবার রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে কোনো সাহায্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে আইডিএফের এ দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।

ভিডিওতে মাটিতে একটি গভীর গর্ত দেখা যায়, যা কংক্রিট ও কাঠের ধ্বংসস্তূপ ও বালি দিয়ে ঘেরা। একটা বুলডোজারের উপস্থিতি বলে দিচ্ছে, এলাকাটি খনন করা হয়েছে।

আরো জানায়, সৈন্যরা হাসপাতালে একটি গাড়িতে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, আল-শিফাকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি নির্লজ্জ মিথ্যার পুনরাবৃত্তি, যা দখলদার সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের দুর্বল ও হাস্যকর প্রচার দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছে।

এর আগে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের কার্যকলাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের ওপর আস্থা রাখে। তবে তারা এর বিস্তারিত জানাবে না।

বৃহস্পতিবার রাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, “হাজার হাজার নারী, শিশু, অসুস্থ ও আহত ব্যক্তি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘাঁটির খোঁজার জন্য ইসরায়েল তৃতীয় রাতে আল-শিফায় তাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।”

এদিকে গাজার দুটি টেলিকম সংস্থা বলেছে, জ্বালানি উৎস শেষ হয়ে যাওয়ায় অঞ্চলটিতে সব পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্যাল্টেল ও জাওয়াল কোম্পানি থেকে লাইন সচলের কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তাদের ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ও ল্যান্ডলাইন নেটওয়ার্কগুলো অকার্যকর ছিল।

গাজায় জ্বালানি আমদানি করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। তাদের দাবি, এসব জ্বালানি হামাস সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।

যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ও জ্বালানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, এ পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্যবাহী কনভয়গুলোর সমন্বয় করা অসম্ভব।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও স্থল আগ্রাসনে অন্তত সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ এর বেশি শিশু। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, আল জাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here