ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব জেরুজালেমের পুরাতন শহরের আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা প্রায় ২০ বার হামলা চালিয়েছে।
মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, পুলিশি সুরক্ষায় আল-আকসা প্রাঙ্গণে ভ্রমণকারী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে মোট ৪৪ বার আজান বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে মসজিদের পরিচালক শেখ মোয়াতাজ আবু স্নেইনাকে মসজিদ থেকে অপসারণের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিছু কর্মচারীকে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে।
হেবরনের পুরাতন শহরে অবস্থিত মসজিদে প্রবেশাধিকার কেবল এলাকা ঘিরে থাকা একটি ইসরায়েলি সামরিক চেকপয়েন্টের মাধ্যমেই সম্ভব।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর জেরুজালেম এবং হেবরনে ইসরায়েলি উত্তেজনা বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে যে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবর্তিত পদক্ষেপগুলো মসজিদকে মুসল্লী এবং কর্মচারী খালি করার প্রচেষ্টার অংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাতের অভিযান এবং সামরিক অভিযানের সময় পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নাবলুসের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বারকা মসজিদ এবং পূর্ব জেরুজালেমের আবু দিস শহরের সালাহ আল-দীন মসজিদ।
সূত্র: আরব নিউজ