আলোচনায় সমাধান মেলেনি, পাকিস্তান-আফগানিস্তান নতুন উত্তেজনা

0
আলোচনায় সমাধান মেলেনি, পাকিস্তান-আফগানিস্তান নতুন উত্তেজনা

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে কোনো সমাধান ছাড়াই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংলাপ শেষ হয়েছে। শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে চারদিনের আলোচনা কোনো ইতিবাচক ফলাফল আনেনি।

আলোচনা সফল না হওয়ার জন্য আফগানিস্তান-আফগানিস্তান উভয়দেশ পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান-টিটিপিকে ভেঙে ফেলার বিষয়ে দুই দেশ একমতে না পৌঁছানো আরও বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সংঘাত থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। 

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান প্রতিনিধিদলকে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করানো সম্ভব হয়নি। টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তারা রাজি হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, ‘কাবুল থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা’ প্রতিনিধি দলকে আলোচনার ইতিবাচক ফলাফল আনতে দেয়নি। 

অন্যদিকে, কাবুল পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ করেছে। তারা বলছে, পাকিস্তান ‌’স্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করছে না’ এবং কোনো সমাধান সুলভ আলোচনা ছাড়াই ‘আলোচনার টেবিল ছেড়ে গেছে’।

আফগান দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি নাজিব। তবে পাকিস্তান তাদের প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করেনি।

এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, ‌আফগানিস্তানের দিক থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তারা মূল বিষয় থেকে সরে গেছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ থেকে জনগণের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আন্তর্জাতিক সংঘাত নিয়ে গবেষণা পরিচালনাকারী সংগঠন উইলসন সেন্টারের সাবেক পাকিস্তান ফেলো সাজ্জাদ সৈয়দ বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক অবিশ্বাস ও পরস্পরবিরোধী অগ্রাধিকারের কারণে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান কঠিন হয়ে উঠেছে।  

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বলেছিলেন, তিনি খুব দ্রুত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংকটের সমাধান করবেন।

সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্তে সেনাবাহিনীর মধ্যে হামলায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বহু মানুষ, সেনা ও বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়। পরবর্তী সময়ে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে আলোচনার টেবিলে বসে। 

পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান পাকিস্তানে হামলা চালায়। তাদের দাবি, কাবুল সরকার এই গোষ্ঠীকে দমন করুক। অন্যদিকে, আফগানিস্তান বলছে, টিটিপি-এর ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এবং রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here